দেশ ও জনগনের সেবার মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ পুলিশই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সবাইকে সেবা দানের সুযোগ রয়েছে। দেশ ও জনগনের সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে ঈর্ষান্বিত সফলতা। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের গৌরব। তাই বাংলাদেশ পুলিশ গাইছে সাহসীদের গান। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ৮৫০০ জন পুরুষ ও ১৫০০ জন নারী কনস্টবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যারা সাহসী ও মানবিক বলে বলীয়ান, যারা দেশের সেবায় অকুতোভয়, যারা নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ রয়েছে তাদের অপেক্ষায়।
এক নজরে সুবিধাসমূহঃ
প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা : প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৭৫০টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।
বেতনঃ সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগপ্রাপ্তদের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নয় হাজার টাকা থেকে ২১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে।
পদোন্নতিঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা রয়েছে।
পোষাক সুবিধাঃ পুলিশ সদস্যদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রী।
পারিবারিক রেশন সুবিধাঃ পরিবারের সর্বোচ্চ চারজন সদস্যের জন্য রেশন সুবিধা। রেশনের আওতায় থাকছে (চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি)।
জাতিসংঘ মিশনের সুযোগঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর রয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহনের সুবর্ণ সুযোগ এবং আর্থিকভাবে লাভবানের সুবিধা।
বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
প্রফিডেন্ট ফান্ড সুবিধাঃ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের জন্য রয়েছে প্রফিডেন্ট ফান্ড সুবিধা।প্রফিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত টাকা অবসরকালীন সময়ে এনে দিবে সচ্ছল জীবন ব্যবস্থা।
ঝুঁকিভাতাঃ পুলিশ সদস্যদের কাজের জন্য রয়েছে ঝুঁকিভাতা।
আবাসনের সু-ব্যবস্থাঃ সরকারী খরচে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
শিক্ষাভাতাঃ পুলিশ সদস্যের সন্তানদের পড়াশুনার জন্য রয়েছে শিক্ষাভাতার ব্যবস্থা।
বিশেষায়িত ইউনিটে কাজের সুযোগঃ মূলধারার পুলিশিংয়ের পাশাপাশি পুলিশে বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট রয়েছে যেখানে আপনি কাজ করতে পারবেন।যেমনঃডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, পুলিশের বিশেষায়িত কমান্ডো ইউনিট সোয়াট, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ইত্যাদি।
সামাজিক নিরাপত্তাঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর আপনার পারিবারিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে অন্যরকম আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে।
পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর নিজের সন্তানকেও পুলিশ পোষ্য কোটায় ভর্তি করাতে পারবেন।
বিদেশে প্রশিক্ষণঃ চাকরীর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের সুবিধা।
পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগঃ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর চাকরীর পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ারও সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
পুলিশ ব্যাংকঃ (প্রস্তাবিত)বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাংক থেকে লোন সুবিধা।
অবসরকালীন সুবিধাঃ চাকরী শেষে পাবেন অবসরকালীন পেনশন সুবিধা।
সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটি পাবেন সেটি হল সাধারণ মানুষের সেবা করার সুযোগ। সততা ও মানুষকে সেবা করার মানসিকতা নিয়ে যোগ দিন বাংলাদেশ পুলিশে। আমরা আছি আপনার অপেক্ষায়।